প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিত চেয়ে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে আচাকজাইয়ের চিঠি

পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিত করার দাবি জানিয়ে পিটিআই-সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) প্রার্থী মাহমুদ খান আচাকজাই দেশটির নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি দিয়েছেন। ইলেকটোরাল কলেজ গঠন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে আচাকজাই এ চিঠি দেন।

পাকিস্তানে আজ শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারপারসন আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আচাকজাই। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের দুই কক্ষ এবং প্রাদেশিক পরিষদগুলোয় ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। এ পদ্ধতিকেই ইলেকটোরাল কলেজ বলা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজাকে গতকাল শুক্রবার পাঠানো চিঠিতে আচাকজাই লিখেছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে আইন ও সংবিধান অনুযায়ী যে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি অনুসরণের কথা, সেটি ‘এখনো অসম্পূর্ণ’। কারণ, জাতীয় পরিষদ এবং সব প্রাদেশিক পরিষদের ‘কিছু সংরক্ষিত আসন’ এখনো ফাঁকা।

চিঠিতে আচাকজাই আরও লিখেছেন, ‘এখন পর্যন্ত সংরক্ষিত আসনে কেউ নির্বাচিত হননি। এসব আসনে মনোনয়ন এবং যথাযথ নির্বাচন ছাড়াই নির্ধারিত সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা হলে তা হবে তাদের ভোটকে অস্বীকার করার শামিল। তা ছাড়া এটি মৌলিক অধিকার, আইন ও সংবিধানের পরিপন্থী।’

পাকিস্তানের এ প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর দাবি, সব আসন পূর্ণ হওয়া ছাড়া ইলেকটোরাল কলেজ হবে না। তিনি মনে করেন, সব আসন পূর্ণ না করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলে তা হবে ‘অবৈধ, বেআইনি ও সংবিধানপরিপন্থী।’

পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদে ৯২টি আসনে জয়ী হয়। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৯ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি আসন পেয়েছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট পিটিআইয়ের আন্তদলীয় নির্বাচনের ওপর নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এসআইসিতে যোগ দেন।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে ৬০টি। সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে ১০টি। এসব আসন নির্বাচনে জয়ী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংখ্যানুপাতে ভাগ করে দেওয়া হয়। পিটিআই-সমর্থিত এসআইসি বাদে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতিমধ্যে আসন ভাগ করে দিয়েছে ইসিপি।
৪ মার্চ পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানায়, পিটিআই–সমর্থিত এসআইসিকে কোনো সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ দেওয়া হবে না।

কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয় এসআইসি। গত বুধবার আদালতের একটি স্থগিতাদেশ দিয়ে বলেছে, এসআইসিকে যে সংরক্ষিত আসনগুলো দেওয়া হয়নি, সেখানে কোনো আইনপ্রণেতা শপথ নিতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত।

সর্বাধিক পঠিত

কুলসুম থেকে ম্যারিও সিমো ভ্যার্মো
ভিডিও দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন