সমুদ্রপথে গাজায় পৌঁছাল প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ

মানবিক সহায়তা নিয়ে একটি জাহাজ প্রথসবারের মতো সমুদ্রপথে ফিলিস্তিনের গাজায় পৌঁছেছে। ‘ওপেন আর্মস’ নামের এই স্প্যানিশ জাহাজটি গত মঙ্গলবার ২০০ টন খাদ্যপণ্য নিয়ে সাইপ্রাস উপকূল থেকে রওয়া নিয়ে আজ শনিবার গাজা উপকূলে পৌঁছেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার আকাশসীমা অবরুদ্ধ রাখা এবং স্থলসীমায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহক হামলার প্রেক্ষাপটে গাজা উপত্যকায় ত্রাণ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে আকাশ থেকে ফেলে দেওয়া ত্রাণের বোঝা মাথায় পড়ে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে সমুদ্রপথে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দেয় আমেরিকা। এরপর আজ সমুদ্রপথে প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজটি গাজায় পৌঁছাল।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় এ ত্রাণগুলো পাঠিয়েছে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে)। তাদের সহযোগিতা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ত্রাণের মধ্যে রয়েছে চাল, ময়দা, লেবু, টিনজাত শাকসবজি এবং টিনজাত প্রোটিন।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় স্থায়ী বন্দর না থাকায় ডব্লিউসিকে দল একটি অস্থায়ী বন্দর স্থাপন করেছে। সেখানেই তারা খাদ্যপণ্যগুলো খালাস করছে। তবে এসব পণ্য তারা কীভাবে গাজাবাসীদের মধ্যে বন্টন করবে, তা এখনো জানা যায়নি।

সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ডব্লিউসিকের প্রতিষ্ঠাতা সেফ জোস অ্যান্ড্রেস বলেন, জাহাজ থেকে খালাস করা পণ্যগুলো ১২টি ট্রাকে করে গাজা ভূখণ্ডে পাঠানো হবে।

এদিকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানিয়েছে, সমুদ্রপথে গাজা উপকূলে আসা জাহাজটির নিরপত্তায় কাজ করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। নির্বিচার হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আর ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দারা প্রায় সবাই ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে রোজা। তাতেও হামলা কমেনি।

সর্বাধিক পঠিত

কুলসুম থেকে ম্যারিও সিমো ভ্যার্মো
ভিডিও দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন