প্রযুক্তি প্রিয় মানুষের কাছে ভিআর হেডসেট বা ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট এর কদর অনেক বেশি। মূলত এ প্রযুক্তি হলো কম্পিউটারনিয়ন্ত্রিত এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে মডেলিং ও অনুকরণবিদ্যা প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষ কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পরিবেশের অনুভূতি পেতে পারে। অর্থাৎ অনেকটা সাধারণ ভিডিও দেখার মত হলেও ভিআর এ সবকিছু বাস্তব মনে হয়।
বেশ কিছু বছর ধরেই গেমিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তি প্রেমীদের ক্ষেত্রে ভিআর এর গ্রহণযোগ্যতা ছিল অনেক বেশি। এবার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে গরুর ক্ষেত্রে।
জ্বি, গবেষকদের মতে গরুর উদ্বেগ দূর করা এবং মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য এই ভিআর তৈরি করা হয়েছে। এতে গাভির মন ভাল থাকবে এবং এতে গাভির দুধ দেওয়ার পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করছে গবেষকরা।
সম্প্রতি রাশিয়ায় খামারের একটি গরুতে এ ভিআর ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ছবিতে দেখা যায় একটি উষ্ণ চারণভূমিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে গরুটি। ফলে গরুর উদ্বেগ দূর হচ্ছে এবং মানসিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
তবে ছোটখাটো পরিসরে নয়। রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকেই গৃহীত হয়েছে এ প্রকল্প। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কাছাকাছি একটি বড় ডেইরি ফার্মে এ পাইলট প্রকল্পের কাজ চলছে।
গবেষকেরা বলছেন,
সুখী গরু বেশি দুধ দেয়।
একই বিষয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে,
একটি শান্ত পরিবেশে গাভিগুলোর দুধ দেওয়ার পরিমাণ যেমন বাড়ে, তেমনি দুধের গুণগত মানও উন্নত হয়।
রাশিয়ার রাসমোলোকো ফার্ম দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ওই গবেষণায় যুক্ত রয়েছে।
তারা বিবৃতিতে বলেছে,
ভিআর ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে কম্পিউটারনিয়ন্ত্রিত গ্রীষ্মকালীন গোচারণভূমি তৈরি করা হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন,
এতে লাল বর্ণচ্ছটা ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ, বর্ণচ্ছটার মধ্য থেকে সবুজ কিংবা নীল রঙের থেকে গরু লাল রং বেশি পছন্দ করে।
গবেষণা করে গরুর জন্য ভিআর তৈরি এবারই প্রথম। তাই গবেষকদের ধারণা এই প্রকল্পের মাধ্যমে খামারের ক্ষেত্রে আসবে আমূল পরিবর্তন।
- সুমাইয়া হোসেন লিয়া, প্রবাস কথা, ঢাকা।