বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন ক্লাব পাড়া মুখোমুখি হচ্ছে একের পর এক অভিযানের। এরই ধারাবাহিকতায় দুদিন আগে গত সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের গুলশান লিংক রোডে অবস্থিত ফু-ওয়াং ক্লাবে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। তবে সেদিন অভিযানে ক্লাবটিতে ক্যাসিনো কিংবা কোনো ধরণের অনিয়ম পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ।
“প্রথম আলো”র একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পুলিশের অভিযানের দুদিন পর গতকাল বুধবার ক্লাবটিতে অভিযান চালায় র্যাব। বুধবার মধ্যরাতে পরিচালিত এই অভিযানে বিদেশি মদ ও বিয়ার মিলিয়ে ১২ হাজার বোতল ও ক্যান উদ্ধার করা হয়।
“প্রথম আলো”র প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযান শেষে ফু-ওয়াং ক্লাবটি সিলগালা করে দেয় র্যাব। মদের পাশাপাশি ক্লাবটি থেকে নগদ সাত লাখ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়। একইসাথে এই অভিযানে তিন জনকে আটক করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই অভিযান সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মো. সারোয়ার বিন কাশেম।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান,
রাত ১২টার দিকে শুরু হওয়া অভিযানে ফু-ওয়াং ক্লাব থেকে নগদ সাত লাখ টাকা, দুই হাজার বোতল বিদেশি মদ, ১০ হাজার ক্যান বিয়ার জব্দ করা হয়। এসময় ক্লাবটির তিন কর্মচারী জাহিদ, জেভিয়ার জেরি ডি কস্টা ও চঞ্চলকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান,
জব্দ বিদেশি মদের বোতলের মধ্যে ৩ শতাংশ অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে। জব্দ বিয়ারের ৫০ শতাংশও অনুমোদনহীন।
এছাড়া ক্লাবটির সদস্যদের বাইরেও মদ ও মাদকদ্রব্য বিক্রি করা হতো, যা মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনবিরোধী বলে জানিয়েছেন লে. কর্নেল মো. সারোয়ার বিন কাশেম।
তবে এই অভিযানের পূর্বে কেন পুলিশের অভিযানে কিছু পাওয়া যায়নি- সে বিষয়ে কথা বলেননি র্যাব সদস্য।
- সুমাইয়া হোসেন লিয়া, প্রবাস কথা, ঢাকা।