ইতালীর সিসিলী দ্বীপের রাজধানী পালেরমোতে এক ইতালীয়ান ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই বাংলাদেশীকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এর আগে নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধীরের সনাক্ত করতে মাঠে নামে ইতালীয়ান পুলিশ।
নির্যাতিতার দেওয়া তথ্যের বৃত্তিতে গঠনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ এবং আশেপাশের বিভিন্ন বাসা ও দোকানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে অপরাধীদের সনাক্ত করে পুলিশ। অপরাধী সনাক্তের পরই নিজ বাসস্থান থেকে সাগর দেব (২১)ও ফেরদৌস খান (১৯) নামের দুই বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত চার জুলাই ভোর রাতে শহরের কিছু পাবে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরছিলেন এই ছাত্রী। কিন্ত অনেক আগে থেকেই উৎপেতে নজর রাখছিলো দুই ধর্ষক । তারা মেয়েটিকে কিছু বুঝতে না দিয়ে রাস্তার উল্টো পাশ থেকে তার পিছু নেয়, মেয়েটি তার বাসার কাছাকাছি এসে পৌঁছালে অপরাধীরা পেছেন থেকে মেয়েটির ওপর হঠাৎ ঝাপিয়ে পরে এবং তার হাত মুখ আটকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে তার ওপর পাষণ্ডি ও বর্বর নির্যাতন চালায়। তার পর সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায়।
বিদেশী কর্মী ইস্যুতে দ্বিমুখী বক্তব্য মালয়েশিয়ার দুই মন্ত্রণালয়ের
পুলিশ নির্যাতিতা ছাত্রীর ঘটনার দিনের পরিহিত পোসাক ও নির্যাতন কারীদের পোসাক এবং তাদের মোঠফোন ঘটনার আলামত হিসেবে জব্দ করেছে। পুলিশ জানায় ধর্ষণকারীরা শুধু শারীরিক নির্যাতন করে ক্ষান্ত হয়নি তারা ধর্ষণের ভিডিও তাদের ফোনে ধারণ করে রেখেছিলো । পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধীরা তাদের অপরাধ স্বীকার করে। পুলিশ হেফাজতে থাকা দুই আসামি অন্য কোন অপরাদের সাথে জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশের তদন্তকারী দল।
তাফাজ্জুল তপু, পালেরমো প্রতিনিধি, ইতালী